শীতে চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় বেশি। কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতেও চুল থাকবে ঝলমলে ও সুন্দর।
শুষ্ক চুলের সমস্যা প্রায় সকলেরই৷ শহরের আবহাওয়া , দূষণ ক্রমাগতই বাড়িয়ে তুলছে চুলের সমস্যা৷ কর্মব্যস্ত জীবনে চুলের যত্ন করার সময়ও মেলেনা৷ কিন্তু নিজেকে সুন্দর রাখতে হলে চুলের যত্ন করতে তো হবেই৷ এখন আবার শীত এসে গেছে৷ আর শীত মানেই চুলের বাড়তি রুক্ষতা। রুক্ষ ও শুষ্ক চুল ভেঙেও যায় দ্রুত। ফলে শীতে চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় বেশি। কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতেও চুল থাকবে ঝলমলে ও সুন্দর।
১.চুলে দিন সঠিক পরিমাণ জল হ্যাঁ চুলের প্রধান খাবারই জল৷ তাই সেই খাবার বেশি বা কম হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ সপ্তাহে দুইদিনের বেশি চুলে জল লাগাবেন না। বার বার চুল জল দিয়ে ধুলে চুল দ্রুত রুক্ষ হয়ে যায়। ২.গরম জলকে “নো” অনেকেই মনে করেন গরম জল চুলের জন্য ভালো৷ কিন্তু আসলে উল্টোটাই৷ গরম জল দিয়ে চুল ধোবেন না একেবারেই। ঠাণ্ডা জল অথবা হালকা ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন চুল।
৩.কন্ডিশনারের ব্যবহার
শ্যাম্পু যতোই ভালো হোক না কেন৷ চুলে কখনই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না৷ কন্ডিশনার চুলকে দেয় পুষ্টি৷ যার ফলে চুলের রুক্ষতা দূর হয় অনেকাংশেই৷
৪.তেলের ব্যবহার
সপ্তাহে একদিন গরম তেল ম্যাসাজ করুন চুলে। সারারাত রেখে পরদিন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তেল ম্যাসাজের পর গরম তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখলেও উপকার পাবেন।
৫.ভেজা চুলে চিরুনি নয় ভেজা চুল আঁচড়াবেন না বা তোয়ালে দিয়ে আঘাত করে মুছবেন না।এতে ডগা ভেঙে যায়, যা থেকে হতে পারে হেয়ার ফল৷
৬.হেয়ার প্যাকের ব্যবহার চুলের পুষ্টি আনতে ব্যবাহার করতে পারেন ঘরে তৈরি হেয়ার প্যাক৷ ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিন অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা জেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে। মিশ্রণটি চুলে লাগান ঘষে ঘষে। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে।