কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোরের ৯০% এর বেশি নিবন্ধিত ব্যবসায়ী প্রতিপালনকারী ভ্যাটদাতা হিসেবে স্বীকৃত যা সারা দেশে সর্বোচ্চ। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১১৬ অনুযায়ী প্রতিপালনকারী ভ্যাটদাতাগণ মূসক সম্মাননাপত্র পাবেন এবং বিধি ১১৭তে বর্ণিত কাজের জন্য তা ব্যবহৃত হবে।
এটি কি শুধুই একটি কার্ড? এর কি কোন ব্যবহার আছে?
মূসক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী ১ জুলাই হতে ভ্যাট অনার কার্ড বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হবে। আইনের আওতায় বেশ কিছু কাজ করতে চাইলে ভ্যাট অনার কার্ড লাগবে। এগুলো আইনগত ব্যবহার। আবার, যশোর কমিশনারেট হতে প্রতিপালনকারী (Compliant) ভ্যাটদাতা হিসেবে আপনাদেরকে সামাজিকভাবে সম্মানিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভ্যাট অনার কার্ডধারীগণ আইনগত এবং সামাজিক উভয় ধরণের সুবিধা পাবেন।
১। আইনগত সুবিধা: যেসকল ক্ষেত্রে ভ্যাট অনার কার্ড লাগবে
ক) কোন টেন্ডারে অংশ গ্রহণ;
খ) কোন সংস্থায় সরবরাহ প্রদান;
গ) কোন সংস্থায় তালিকাভুক্তি;
ঘ) বন্ড লাইসেন্স নবায়ন;
ঙ) ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে;
চ) স্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনে;
ছ) আমদানি-রপ্তানিতে।
জ) আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর অব্যাহতি প্রাপ্তির জন্য প্রত্যয়নপত্র ইস্যু।
২। সামাজিক সুবিধা:
ক) বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা
খ) বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা
গ) বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ফাস্ট ট্র্যাক সেবা প্রাপ্তি
ঘ) বিভিন্ন হাসপাতালের সেবায় ডিসকাউন্ট
ঙ) বিভিন্ন সুপার শপে ডিসকাউন্ট
চ) বিভিন্ন ব্রান্ড শপে ডিসকাউন্ট
ছ) বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেলে ডিসকাউন্ট
জ) বিভিন্ন বাস সার্ভিসে ডিসকাউন্ট।
আইনের বিধান অনুযায়ী জুলাই, ২০২০ এর মধ্যেই সকল অনার কার্ড ইস্যু সম্পন্ন করার জন্য অনলাইন-ভিত্তিক সিস্টেম তৈরির কাজ চলছে। একই সাথে বিভিন্ন সংস্থার সাথে প্রিভিলেজ ও ডিসকাউন্ট সেবা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তাদের সাথে এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।
১. ভ্যাট আইন অনুযায়ী যশোরে ভ্যাটদাতারা বেশ কিছু আইনগত সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। চালু হচ্ছে ভ্যাট অনার কার্ড। এই কার্ডের ব্যবহার সারাদেশে কেমন হবে?
২. এ সুবিধা সব শ্রেণীর ভ্যাট দাতারাইকি পাবেন? ভ্যাটকার্ডধারীদের বিশেষ সুবিধা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব হবে কি না।
৩. সবার কাছে এসব সুবিধা পৌঁছাতে যে ব্যবস্থাপনাগত প্রস্তুতি, সেটা কতোটা এগিয়েছে। এটাকি তাহলে ভ্যাট আইন কার্যকরের একটি ধাপ?